অভিমানী
তোমায় আজি প’ড়ছে মনে কোথায় তুমি মা;
তোমার দেওয়া সেই ভালবাসা আজ আমার সাধনা।
রোজ সকালে নামাজের সময় ডাকতে আমায় এসে
“খোকা উঠো পড়তে বসো।” ডাকতে ভালবেসে।
ঘুম থেকে মা উঠতো না আমার এ পোড়া দেহ;
তোমার কভু হতো ভারি কাঁপতে যেন ঐ গেহ।
হইতো কভু ঘুমিয়ে আছি শীত কিংবা আষাঢ়ে,
কাঁথাটা তুমি কেড়ে নিয়ে তুলতে কান ধরে।
পরে ভালবেসে ডাকতে কাছে বসতে আমার পাশে
তারপরেতে সূর্য বাবু উঠতো হেসে হেসে।
অবশেষে পাঠশালাতে যখন আমি যায়,
ভাবতুম আমি, মায়ের শাসন হেথা আর নাই।
রোদ দুপুরে আসার সময় রোদে মুখটি হতো লাল,
আদর দিয়ে কোলে নিয়ে ভরতে চুমুই গাল।
আবার তুমি ঘুম পারাতে আদর করে করে,
ঘুম পারাতে আদর সোহাগ চড়ও দিতে মোরে।
ঘুম শেষে ছুটি আমার, খেলতে যেতাম মাঠে,
ভাবতুম, এমন খেলে আমার যদি দিনটি যেত কেটে।
সন্ধা হবার আগেই যেন আমার বাড়ি ফেরা চাই,
একটু দেরি হলে তোমার কি এমন ক্ষতি হয়।
আবার তুমি পড়তে বসাও, ধরতে পড়া যখন,
ভয়ে আমার কাঁপতো বুক, কাঁদতো আমার মন।
ভেবেছি তখন বাধন চিরে কেমন করে পালাই,
দুরে ঠেলে কেন এ মন তোমারে শুধু চাই।
চুপটি করে আর থেকোনা সাড়া দাও অভিমানী;
তোমার খোকা কাঁদছে আজি দাও আঁচলখানি।।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
(০৮ শ্রাবণ, ১৪০৭/কালিশংকর পুর, কুষ্টিয়া)
Lot thanks 4 your write.