বাংলা ভাষার ইতিহাস এবং ব্যবহার

shahid_minar-1.jpgবাংলা ভাষা এবং ভাষা আন্দোলন বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন পরিচয়ে পরিচত করেছে। আর তার ফল স্বরূপ আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এত কিছু থাকার পরেও অনলাইনে বাংলা ভাষার দখলটা তুলনামূলকভাবে কম।
রক্তঝরা একুশ নিয়ে আমাদের উম্মাদতার কমতি নেই। ফ্রেব্রুয়ারী আসলে তা আরো ভালভাবে পরিলক্ষিত হয়।

বাংলা ভাষার সৃষ্টি বা শুরুর ইতিহাস আমাদের কম জানা থাকলেও ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ইতিহাসটা বিশ্ববাসির জানা। আর কোন জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দেবার নজির বিশ্বে নেই। এরই জন্য প্রতিবছর ২১ ফ্রেব্রুয়ারী বিশ্বব্যাপি (জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে পালন করা হয়। একুশ সম্পের্কে জাতিসঙ্ঘের দেওয়া তথ্য পেতে পারবেন এই www.un.org/Depts/dhl/languag ওয়েব সাইট থেকে।
আমাদের ভাষা নিয়ে এত বড় গর্বের ইতিহাস রয়েছে অথচ অনলাইনের আমাদের দাপটা তেমন চোখে পড়ার মত নয়। তবে বেশ কিছু ওয়েব সাইটের কথা না বললেই নয়। http://bn.wikipedia.org/wiki: ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ উইকিপিডিয়ার সাইটে টুর মারেন নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়ার যাবে না। উইকিপিডিয়ার সূচনা পুরানো হলেও এখানে বাংলার আগমন ২০০৪ সালে। এখানে বিশ্বের ২৫০টি ভাষায় তথ্য রয়েছে এর মধ্যে বাংলার অবস্থান ৪০। এখানে বাংলা ভাষার ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, বাংলা বর্ণের উৎপত্তি, বাংলাদেশ বিষয়ক খবর, বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের জীবনী থেকে শুরু করে সবই আছে। উন্মুক্ত এবং বৃহত্তম এই তথ্যভান্ডার বাংলা ভাষাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। http://banglapedia.org: বাংলাপিডিয়া হচ্ছে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় বিশ্বকোষ। বাংলা ভাষা, ভাষা আন্দোলন, একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে বাংলায় প্রচুর তথ্য রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় সকল বিষয়ের তথ্যই এখানে রয়েছে। বাংলা এবং বাংলাদেশকে জানতে বাংলাপিডিয়া এক অনন্য নাম। ২০০৩ সালে ১০ খন্ডে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই এটি ছাপা হয়, যার মূল্য প্রায় ২০,০০০ টাকা। এছাড়া সিডিতেই এর পূর্ণাঙ্গ (বাংলা ও ইংরেজি) সংস্করণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ অনলাইন, বই এবং সিডির মাধ্যমে পেতে পারেন বাংলাপিডিয়ার সকল তথ্য।
অনলাইনে আমাদের দেশের প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোর অনলাইনে সংস্করণ বাংলাতে প্রকাশিত হয়। ফলে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বাংলা পত্রিকা পড়তে পারে। এছাড়াও আরো রয়েছে দেশী-বিদেশী অনলাইন পত্রিকা, অভিধান এবং বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েব সাইট। এগুলোর মধ্যে

shahid-minar-2.jpg

www.google.com.bd,

http://ovidhan.org,

www.bangladict.org,

www.newsnetbd.com,

www.bbc.co.uk/bengali,

www.bdnews24.com/bangla/home.php,

shahid_minar-royal.jpg

http://www2.dw-world.de/bengali,

www.mukhomukhi.com,

http://bn.globalvoicesonline.org,

http://bd.newspeg.com,

www.nhk.or.jp/nhkworld/bengali/index.html,

http://evergreenbangla.com,

www.nybangla.com,

http://bengali.cri.cn,

www.taranganews.com,

http://bangla.irib.ir,

www.ukbengali.com,

www.nature.com.bd,

http://biggani.com,

http://farnar.com,

http://projanmo.com,

www.spandan-patrika.com,

www.dhakapost.com অন্যতম। বাংলাতে তৈরী এই সাইটগুলো আমাদের চাহিদার কিছূটা হলেও পুরণ করছে।
বাংলা ইউনিকোডে স্বীকৃতি পাওয়ার পরে অনলাইনে বাংলার ব্যবহার বাড়ছে। এখন সহজে বাংলাতে ইমেইল করা যায়, ব্লগ লেখা যায়। বর্তমানে ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার কারনে অনেকেই ঝুকছে ব্লগের প্রতি। আর ব্লগের মাধ্যমে সল্প জানা ব্যাক্তিও অনলাইনে নিজের ভূবন তৈরী করতে পারে। এছাড়াও দেশ বিশেষ থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে অনেকেই তাদের ওয়েব সাইটকে বাংলাতে সাজিয়েছে। আর এসবের জন্য কম্পিউটার বাংলা লিখার সফটওয়্যার (কীবোর্ড এবং ফন্ট)। অনলাইন থেকে বিনামূল্যেই সংগ্রহ করা যায় এসব সফটওয়্যার। এসব ওয়েবসাইটে আসকির পাশাপাশি ইউনিকোডে লেখার জন্য সফটওয়্যার ও ফন্ট পাওয়া যাবে। এরকম কিছু ওয়েবসাইট হচ্ছে www.bengalinux.org, www.ubuntu.com, www.ekushey.org, www.joomlana.com, www.omicronlab.com ইত্যাদি।
সর্বশেষে একটি বিষয় হচ্ছে অনান্য বারের তুলনায় এবারের একুশে বই মেলাতে অনান্য বাংলা বইয়ের পাশাপাশি কম্পিউটার এবং আইসিটি বিষয়ক বই, সিডি (মাল্টিমিডিয়া, ডিকশনারী, টিউটোরিয়াল ও অনান্য দেশী সফটওয়্যার) আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে। বই মেলার প্রায় সকল তথ্য ওয়েব সাইটেই (http://boimela.newsnetbd.com) পাওয়া যাচ্ছে। একই সাথে সফটএক্সপ্রো ২০০৮ বা সফটওয়্যার মেলাতে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মধ্যে বাংলা সফটওয়্যারও চোখে পড়ার মত।

৬ Comments on "বাংলা ভাষার ইতিহাস এবং ব্যবহার"

  1. লেখাটি ভাল লাগল। একুশ আমাদের অহংকার। এই একুশের মাধ্যমেই আমরা আমাদের প্রিয় ভাষা বাংলাকে হিংস্র পাকিস্তানীদের হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। ওই নরপশুরা আমার মায়ের ভাষাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বীর বাঙালি তা রুখে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন পাকিস্তানীদের অপকর্মগুলো আরও আরও বেশি আলোচিত হবে। আমরা তাদের ঘৃণ্য ভূমিকাগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতেই থাকব।
    তাই যতবেশি সাইট/ ব্লগ বাংলা ভাষায় লিখিত হবে ততবেশি আমরা নরাধম পাকিস্তানীদের কুৎসিত মুখে থুথু দিতে পারব। ভাষাদিবস নিয়ে লিখিত সাইটগুলোর খবর জানানোর জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
    http://banglablogtips.blogspot.com

মন্তব্য করুন

×
কপিরাইট © ২০০৬-২০২৪ সমকাল দর্পণ. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েল টেকনোলজিস