মেয়াদ উর্ত্তীণ ডোমেইন
ডোমেইন এর নিয়ম অনুসারে, একটি ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার সময় বা পরে অতিরিক্ত ৯ বছর পর্যন্ত রিনিউ করা যায়। অর্থাৎ ডোমেইন সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সবোর্চ্চ ১০ বছর পর্যন্ত রেজিষ্টেশন করা যায়।
ডোমেইন রিনিউ: সাধারণত ডোমেইন প্রতিবছরে রিনিউ করতে হয়। রিনিউ না করলে ডোমেইনটি আর ব্যাবহার করা যায় না যাকে মেয়াদ উর্ত্তীণ ডোমেইন বা এক্সপায়ারর্ড ডোমেইন বলে। ডোমেইন রিনিউ এর মাসিক কোন ব্যবস্থা নেই, ডোমেইন সর্বনিম্ন ১ বছরের জন্য দিতে হয় প্রি-পেইড সিস্টেমে এবং ১ বছর পর আবার পুনরায় পরবর্তী বছরের জন্য রিনিউ ফি দিতে হয় অর্থাৎ রিনিউ করতে হয়।
গ্রেস পিরিয়ড: ডোমেইন এর মেয়াদ উর্ত্তীণ বা এক্সপায়ার্ড হবার ৩০-৩৫ দিন পর্যন্ত সময়কে গ্রেস পিরিয়ড বলে। ডোমেইন এক্সটেনশন ভেদে এই সময় কম বেশী হতে পারে। এই সময়ের ভেতরে রেগুলার রিনিউ ফি দিয়ে ডোমেইন রিনিউ করা যায়। অর্থাৎ রিনিউ এর জন্য কোন অতিরিক্ত ফি লাগে না। সাধারণত ডোমেইনের কেনার ফি আর রিনিউ ফি একই পরিমান হয়ে থাকে।
রিডিমশন: গ্রেস পিরিয়ড এ ডোমেইন রিনিউ না করলে তা রিডিমশন পিরিয়ড এ চলে যায়। এটি সাধারণত ৩০ দিন হয়ে থাকে। এই সময়ে ডোমেইন রিনিউ ফি এর সাথে ডোমেইন রিস্টোর ফি (অতিরিক্ত চার্জ) দিতে হয়।
পেন্ডিং ডিলেট: রিডিমশন পিরিয়ড শেষ হবার পর পরবর্তী ৫-৭ দিন এই সময়কালকে ডোমেইনের পেন্ডি ডিলেট পিরিয়ড বলে। এই সময়ে চাইলেও আপনি ডোমেইন রিনিউ বা রিস্টোর করতে পারবেন না, অর্থাৎ ডোমেইন রিনিউ করার সকল সুযোগ শেষ।
ডোমেইন রিলিজ / এক্সপায়ার্ড: পেন্ডিং ডিলেট পিরিয়ড শেষ হবার পর অর্থাৎ ডোমেইন সম্পূর্ণরূপে ডিলেট হয়ে যাবার পর ডোমেইনটি রেজিষ্টেশন এর জন্য উম্মুক্ত হয়ে যায়। তখন যে কেউ যেকোন রেজিষ্ট্রার থেকে রেজিষ্টেশন করতে পারবে।
![](https://i0.wp.com/www.shamokaldarpon.com/wp-content/uploads/2023/11/expired-domain.jpg?resize=1024%2C576&ssl=1)
ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার: ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার মূলত একটি মেথর্ড যার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারকৃত ডোমেইন মনিটরিং এবং ট্রাকিং করা হয়। যাতে করে পরবর্তীতে ওই ডোমেইন জিষ্টেশন এর জন্য উম্মুক্ত হবার সাথে সাথেই এটি সবার আগে রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো যেখান ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার দেওয়া যায়।
www.dynadot.com/market/backorder
www.godaddy.com/domains/domain-backorder
www.crazydomains.com.au/domain-names/back-order
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কেনা: প্রতিদিন অসংখ্য ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়ে যাচ্ছে। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন খুঁজে পাওয়ার জন্য বেশ কিছু টুলস বা ওয়েবসাইট আছে। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো যাদের মাধ্যমে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনতে পারবেন।
www.dynadot.com/market/auction
নতুন ডোমেইন বনাম এক্সপায়ার্ড ডোমেইন: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি নতুন ডোমেইন কিনলে সেটি জিরো ডোমেইন অথরিটি থাকবে। আর আপনি যদি একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনেন তাহলে সেটাতে কিছু ডোমেইন অথরিটি থাকতে পারে। নতুন ডোমেইন ব্যবহার করলে এটি গুগলের ইনডেক্স হতে সময় লাগে আর এক্সপায়ার্ড ডোমেইনে আগে থাকা আর্টিকেল ইনডেক্স থাকতে পারে ফলে নতুন লেখা প্রকাশের সাথে সাথে গুগলে ইনডেক্স হয়ে যাবে। তবে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কেনার সময় আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে ডোমেইনটি সবদিক থেকে ভালো কিনা, যদি ভালো হয় তাহলে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনবেন।
ডোমেইন লিংক প্রোফাইল চেক: এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কেনার আগে প্রোফাইল ব্যাকলিংক চেক করে নেবেন। ডোমেইন লিংক প্রোফাইল চেক করতে পারবেন www.websiteseochecker.com সাইট থেকে।
ডোমেইন অথরিটি চেক: আপনি যখন একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনবেন তখন ডোমেইনটির অথরিটি যাদি 5 – 20 এর মধ্যে থাকে তাহলে ভালো। ডোমেইন অথরিটি চেক করতে পারবেন www.websiteseochecker.com/domain-authority-checker সাইট থেকে।
ডোমেইন হিস্টরি চেক: একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনার আগে দেখা উচিত ডোমেইনটা আগে কি ধরনের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কি তথ্য ছিলো, কারণ আপনি যে ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট বানাতে চান সেই ক্যাটাগরির হলে ভালো হয়। http://web.archive.org এ আপনি ডোমেইনের হিস্টরিসহ আগের ডিজাইন এবং তথ্য পাবেন।
গুগল URL ব্যান চেক: এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে ডোমেইনটি গুগলের ইউআরএল ব্যান হয়ে গেছে কিনা। গুগল ব্যান চেক করতে পারবেন https://transparencyreport.google.com/safe-browsing/search থেকে।
শেষ কথা: আপনার ডোমেইন মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার আগেই রিনিউ করবেন, অবশ্যয় কয়েক মাস আগে। সম্ভব হলে কয়েক বছরের জন্য রিনিউ করে রাখবেন। আর মেয়াদ উর্ত্তীণ কোন ডোমেইন কেনার আগে উক্ত ডোমেইন অদ্যপান্ত দেখে কিনবেন।
রয়েল টেকনোলজিস (www.royaltechbd.com) সম্পূর্ণ ডোমেইন কন্ট্রোলসহ ডোমেইন বিক্রি করে থাকে। ডোমেইন সংক্রান্ত যেকোন প্রয়োজনে রয়েল টেকনোলজিস এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।