জলকন্যা বরিশালে একদিন
বরিশালের গুটিয়াতে একটি নান্দনিক মসজিদ আছে এটা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখে বরিশালে যাবার প্লান করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এবার হঠাতই একদিনের বরিশাল ঘুড়ে আসার প্লান করলাম, ব্যাস তারিখ নির্ধারিত হলো ২০ নভেম্বর ২০১৫।
আমাদের টিম দাড়ায় ৯ জনের, আমি, সাজ্জাদ, শামিম ভাই, রফিক ভাই, বিদ্যুত দাদা, মাসুদ ভাই, মাসুদ ভাই এর রুমমেট, শাহ-নেওয়াজ এবং মজনু ভাই। এবং বরিশাল থেকে যুক্ত হবে খুলনা থেকে আসা কলিগ রাইসুল এবং লোকাল গাইড হিসাবে নাভানা ফার্ণিচারের বরিশাল ডিলারের ম্যানেজার। দুঃখের বিষয় আমার দোস্ত হাসান তার ব্যবসায়িক কাজের জন্য যেতে পারলো না।
১৯ নভেম্বর জলকন্যা বরিশালে যাত্রার পালা, অফিস শেষে সদরঘাটের দিকে রওনা হলাম। এক যুগের বেশী সময় ধরে ঢাকা ধাকলেও সদরঘাটে যাওয়া হয়নি আগে। বিদ্যুত দাদা এবং শামিম ভাই লঞ্চের ডেকে যায়গা নিতে দুপুরে রওনা হয়, আর রফিক ভাই গেঞ্জি কিনতে আগেই অফিস থেকে চলে যায়। অফিস শেষে আমি আর সাজ্জাদ রওনা হয়। রাত ৮ টার পারাবত লঞ্চে রওনা হয় বরিশালের পথে। রাতে তাস খেলে আড্ডা দিয় সকালে বরিশালে পৌছায়।
আমাদের খুলনার কলিগ ১৯ তারিখে বরিশালে এসে হোটেলে উঠেছে আমরা তার রুমে গিয়ে গোসল ফ্রেস হয়ে নাস্তা করি এবং আমার পুর্বনির্ধারিত মাইক্রোবাসে রওনা হয় নিদিষ্টি স্পটগুলো দেখতে। বরিশালে আমার গাইড হিসাবে থাকে নাভানা ফার্ণিচারের বরিশাল ডিলারের ম্যানেজার।
https://plus.google.com/+MehdiAkram/posts/GXc9VGfB6cd
প্রথমে দপদপিয়া সেতু, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শহর ঘুরে দুপুরের খাওয়া এবং জুম্মার নামাজ পড়ে রওনা দিলাম গুটিয়ার দিকে। দূর্গা সাগর, শেরে-ই-বাংলার যাদুঘর দেখে হয়ে বিকালে বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স বা গুটিয়া মসজিদে আসরের নামাজ পড়লাম। প্রায় ২ ঘন্টা মসজিদ প্রাঙ্গনে ঘুরাঘুরি করে মাগরীবের নামাজ পড়ে বরিশাল শহরেরে দিকে রওনা হলাম।
রাতে নাভানা ফার্ণিচারের বরিশাল ডিলার কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তাদের চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করালো। সবশেষে আমরা রাতের লঞ্চে ঢাকার পরে রওনা হলাম। আসার সময় লঞ্চের কেবিনে বেশ আরামে ঘুম দিলাম এবং সকালে সদরঘাটে পৌছালাম।
খুবই ভাল লাগলো, অসাধারণ লেখা। বরিশাল ট্যুরের আরও কিছু তথ্য জানতে http://bit.ly/2asIVZE