Site icon সমকাল দর্পণ

নষ্ট তত্ত্বের ভূমিকা

আমি নষ্ট –
হইতো এই কথাটি আমার বুকে দেয় যে বেশী কষ্ট;
বাবা – মা কিংবা সমাজ চাইছে হেয় দৃষ্টিতে,
আমি কি নষ্ট ছিলাম, আমার দেহ সৃষ্টিতে?
এই সমাজের কেউ চাহেনা, কেউ বাসেনা ভাল মোরে,
আমায় দেখে মুখ ঘুরায়, বাকে ঘৃণা ঝরে অগোচরে।
একদিন গিয়েছিনু বকুল তলায়- – – – – –
যেথায় আমার খেলার সাথীরা আসতো লুকিয়ে আমার কথায়।
হায়রে! সেদিনের কথা;
আমার সেই সাথীরা আমার বুকে দেই যে ব্যথা।
এই জগতে হয়নি সৃজন আমার তরে হৃদয়,
যে, আমার তরে আমার কথা ভাববে বসে সর্ব সময়।
মনে পড়ে সেই যে তিথী –
যখন নষ্ট ভেবে সঙ্গ ছাড়ে আমার হৃদয়ে বাধা সর্বসাথী।
বাবা – মা ডেকে বলল আমায়,
“তোর মতো নষ্ট কেহ পাবেনা আমার ঠাই।”
“আমার কি অপরাধ বলো? ”
চিৎকার করে বলেই দেখি – বন্ধ দরজা গুলো।
বিনা অপরাধেই আমি দোষী সবার চোখে,
নষ্ট হৃত নষ্ট আমি, মোরে নষ্ট ভাবে লোকে।
আমার অপরাধ-
সমাজপতিদের রক্ত চোষার মিটিয়ে দিয়েছি সাধ।
সবার চেখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলুম,
সমাজপতিরা তোমাদের তরে করছে কেমন জুলুম।
তখন আমার সাথে অনেকেই ছিলো মিত্র ভেবে,
নষ্ট হবার ভয়ে ছাড়লো আমায়, আমাদের এই স্বার্থের ভবে।
সেই থেকে নষ্ট আমি ঘুরছি দিবারাতি- – – – –
যদি পাই আমার তরে আমারই মতো সাথী।
হইতো তারে আপন ভেবে বুকের মাঝে জড়িয়ে নেব,
বুকের মাঝে সুখের নীড়ে আপনারে বিলিয়ে দেব।
একদিন এই নষ্ট নীড়ে-
আমার সাথী যাবে চলে আমায় রেখে আপন তরে।
স্বার্থপুরে আপন কথা সবাই ভাবে বুঝিনু তখন-
অন্য কারো হাতটি ধরে সাথী আমায় ছাড়বে যখন।
যাবার সময় নষ্ট আমায়, বলবে শুধু একটি কথা,
“অপরের তরে আপনারে বিলিয়ে দিতে নেই যে ব্যথা।”
তাইতো আমি বেঁচে আছি সেবাই সৃজন অন্য তরে,
নষ্ট আমি নষ্ট হয়েই রইবো এই নষ্টপুরে ॥
(২২ পৌষ ১৪০৭/কালিশংকর পুর)

Exit mobile version