তিন কন্যা

বাড়ির পাশে রইচ চাচা তিনটি যাহার কন্যা,
সেই দুঃখেই তিনি না কি পুত্র আর চান না।
কন্যার হ্যাট্টিক হওয়ায় তিনি আর পীর মাজারে যাননি,
এখন তার কন্যারা শুনি দু’নয়নের তিন মনি।
একই গায়ের সুলতান চাচা তারও কন্যা তিনটি,
তৃতীয় কন্যার জন্ম শুনে খারাপ হলো মনটি-
মনের দুঃখে চাচা আমার ছাড়লো মসজিদে আসা,
কথা শুনে ইয়ার্কি সম্পর্কে বাড়লো তামাসা।
সবাই বলে হৃদয়ে তার পুত্রের যায়গা শুন্য,
কন্যা দিয়েই তিনি সেথাই করবেন জানি পূর্ণ।
তিন কন্যার আরেক জনক যিনি নিকট আত্মীয় আমার,
এখনও তার পুত্রর সাধ ছাড়েনি শুনি দুয়ার।
ছোট কন্যার জন্ম শুনে যাননি তাকে দেখতে,
এখন তিনি ছোটটি ছাড়া পারেননা কোথাও থাকতে।
ছোট কন্যার নামটি তরু অগ্নি ঝরে বাকে,
মেজ কন্যারা বুদ্ধি বেশী বড়টি পড়ে ফাঁকে।
বেকার একটি চাচা আমার ইমরা তার নামটি,
সংসারে সবার বড় তিনি কন্যা তার তিনটি।
বড়টির বিয়ে শেষ ছোটটি কাস থ্রির,
সমাজ সেবা করেন তিনি সময় যেহেতু ফ্রী।
নজরুল চাচার দুঃখ বড় নেই সন্তান তার,
সন্তানের আশায় আশায় করছেন জীবন পার।
এদের কথা শুনে নজরুল চাচা বলে,
“তিনটির যায়গায় একটি হলেও দুঃখ যেত চলে”।।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০

(১৬ পৌষ ১৪০৭/কালিশংকর পুর, কুষ্টিয়া)

মন্তব্য করুন

×
কপিরাইট © ২০০৬-২০২৪ সমকাল দর্পণ. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েল টেকনোলজিস