নোনা ঘাম

রক্ত যাদের পানি হয়ে পড়ছে ঝরে শরীর বয়ে,
যাদের ঘামে উঠছে গড়ে অট্টালিকা গগন ছুয়ে,
তাদের তরে একটু না হয় ভাবলে বসে সময় ক্ষয়ে।
তোমার তরে করছে যারা সভ্যতার গগন চূড়া,
সভ্যতারই অন্ধকারে আজ অবহেলায় মরছে তারা,
আলোর শিখা একটু না হয় করলে দান হৃদয় দিয়ে।
ঘাম ঝরিয়ে রৌদ্র ঝড়ে ফসল ফলায় তোমার তরে,
তোমার মুখে অন্ন দিয়ে মরছে তারা অনাহারে,
এদের মুখে অন্ন দিতে উঠুক তোমার হৃদয় নড়ে।
করছে যারা ফসল সৃজন নি:স্ব জীবন করছে বহন,
রিক্ত হয়ে পাচ্ছে শুধু তোমার দেওয়া উষ্ণ পবন,
তাদের তরে শৈত্য বায়ু আসুক তোমার বক্ষ্য চিরে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তনুশকটে তোমায় তোলে,
রক্ত ঝরায় তোমারই তরে তবু চাইনা ভাড়া আখিঁ তুলে,
তাদের পানে তাকাও না হয় একটুখানি নয়ন মেলে।
ওদের কাঁধে উঠছো চড়ে যাচ্ছ কিংবা আসছো নীড়ে,
তোমার তরেই আজিকে তারা খাচ্ছে মার জগত জুড়ে,
আপনার স্বজন ভেবে বাঁচাও তাদের অন্তরালে।
ভুবন জোড়া শ্রমিক সবে নোনা ঘামের মূল্য নেবে,
তোমার হাতের গড়া ধরার তোমারই আজি শীর্ষে রবে,
ঘামের মূল্যে দিয়োনা ছাড় সবটুকু তোমরা বুঝে নেবে।
তোমাদের পানে মনিবেরা কভু করবেনা অত্যাচার,
তোমরা যদি বুঝে নাও এই ত্রিভুবনের ভার,
তবেই সবাই এই ধরনীতে শ্রম পূজা পাবে ।।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০

(২৯ অগ্রহায়ণ ১৪০৭/কালিশংকরপুর, কুষ্টিয়া)

One Comment on "নোনা ঘাম"

মন্তব্য করুন

×
কপিরাইট © ২০০৬-২০২৪ সমকাল দর্পণ. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েল টেকনোলজিস